About Us

স্কুল প্রতিষ্ঠাতার বক্তব্য

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। প্রিয় সাভারবাসী, আপনারা অবগত আছেন সবুজ বাংলা প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম চালু হয়েছে জানুয়ারি ২০১৯ ইং সাল থেকে, আমাদের এই কার্যক্রম পরিচালনায় অসংখ্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভালবাসা, বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। যা আমাদের এই পথ চলায় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। অভিভাবকদের আন্তরিক বিশ্বাস এবং তাদের দাবী ও আমাদের দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন সবুজ বাংলা প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। আমি মহান সৃষ্টিকর্তা অসীম দয়ালু আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি যে, তিনি আমাদের এরকম একটি সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। বিদ্যালয়টির এডুকেশন সিস্টেম অর্থাৎ শ্রেণী কক্ষে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, পাঠদান পদ্ধতি, পরীক্ষা পদ্ধতি এবং ফলাফল প্রকাশের পদ্ধতি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যে একজন শিক্ষার্থী নিজেকে সময়পোযোগী, আত্মবিশ্বাসী এবং ভাল ছাত্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট থেকে, শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবে। এর ফলে কোন অভিভাবককে তার সন্তানের খোঁজ খবর নিতে এখন আর কোন শিক্ষকের দ্বারস্থ হতে হবে না। ঘরে বসেই মোবাইল সেট অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে ওয়েব সাইট থেকে প্রত্যেক অভিভাবক তার সন্তানের প্রতিদিনের ক্লাস পারফরমেন্স, মাসিক পারফরমেন্স এবং সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবে। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের ডায়েরির মাধ্যমেও প্রযোজনীয় তথ্য অভিভাবকদের জানানো হবে। এই প্রক্রিয়ায় একজন শিক্ষার্থী কেবল তার নিজের সম্পর্কেই জানতে পারবে না, সাথে সাথে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে তার অবস্থান তুলনা করার সুযোগও সে পাবে।
ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সাময়িক পরীক্ষার ফলাফলকে বিবেচনায় রাখা হবে না। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর প্রতিদিনের ক্লাস পারফরমেন্স ও শ্রেণি কক্ষের উপস্থিতি এ দুটি বিষয়কে অন্তর্ভূক্ত করে প্রতিটি বিষয়ের উপর ফল প্রকাশ করা হবে। কেননা আমরা মনে করি শুধুমাত্র একটি পরীক্ষার ভালো-মন্দ যাচাই করে শিক্ষার্থীর প্রতিভার মূল্যায়ন করা সঠিক নাও হতে পারে। এ জন্য শিক্ষার্থী যেন তার প্রতি দিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করে এই ব্যাপারটিকে উৎসাহিত করা হয়েছে। নিয়মিত অধ্যয়নকারি একজন শিক্ষার্থী ভাল ছাত্র হতে পারে বলে আমরা বিশ্বাসকরি। এ বিবেচনাকে সামনে রেখেই ফলাফল প্রকাশের এরূপ পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। আমি মনে করি এটি একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ, যা বিদ্যালয়টিকে একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দান করবে। ফলাফল প্রকাশের এই পদ্ধতি গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে করা হয়েছে, যা কি-না একজন শিক্ষার্থীকে ধীরে ধীরে আত্ম বিশ্বাসী হয়ে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে। মাতৃভাষা বাংলাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে রাখা হয়েছে। সেই সাথে ইংরেজি ও আরবি ভাষাকেও সমান গুরুত্বেরসাথে বিবেচনা করা হয়েছে। শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই একজন শিক্ষার্থী   আরবি, ইংরেজি, ও সাধারণ জ্ঞানের উপর ভাল প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য বোর্ড নির্ধারিত বইয়ের পাশাপাশি আরো কিছু পাঠ্যপুস্তক পড়ানো হয়। তবে এই বইগুলো যেন কোন অবস্থাতেই বাড়তি চাপ সৃষ্টি না করে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হয়েছে। আমরা জানি এইচ.এস.সি পাশের পর একজন শিক্ষার্থীর কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এর জন্য একটি বিরাট ভূমিকা নিতে হয়। আর এই বিরাট বাধা অতিক্রমের জন্য টাকা এবং দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয়, তাই আমরা এ বিষয় চিন্তা করে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সু-ব্যবস্থা করেছি, যাতে করে তার পক্ষে এ ধরনের বাধা অতিক্রম করা অনেক সহজ হবে। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে চাকুরীর পরীক্ষা গুলোতেও সফলতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে অভিভাবকদের একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি যেন অবশ্যই নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের শিক্ষা পায় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা। কথায় আছে সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎসঙ্গে সর্বনাশ। কাজেই একজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে যাওয়ার পর সে ঠিকমত বাসায় ফিরল কি-না, তার বন্ধু বান্ধব কেমন, সে কাদের সাথে চলাফেরা করে ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখা অতীব জরুরী। সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন সুন্দর করতে শিক্ষকের পাশাপাশি পিতা-মাতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। একজন শিক্ষার্থী ভাল ছাত্র হতে পারে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সে ভাল মানুষ হবে। বর্তমানে যে নৈতিক অবক্ষয়ের যুগে আমরা বাস করছি, মানুষের মধ্যে থেকে মনুষ্যত্ব বোধ ক্রমেই যেন দূরে সরে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে অবশ্যই ভাল মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। এ জন্য পুঁথিগত বিদ্যা শিক্ষার পাশাপাশি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ইসলামিক, নৈতিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আর এখানেই রয়েছে পিতা-মাতার অসামান্য ভূমিকা। আমরা বিশ্বাস করি প্রত্যেক অভিভাবকই চায় যে তার সন্তান শুধু একজন ভাল ছাত্রই নয়, সে একজন ভাল মানুষ হিসেবেও বেড়ে উঠুক। কাজেই সেই আলোকিত মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে সবুজ বাংলা প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের যাত্রা শুরু হয়েছে, সে উদ্দেশ্যকে সফল করতে প্রত্যেক অভিভাবক তার নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন আমরা এটাই প্রত্যাশা করি। পরিশেষে আমি দৃঢ়তার সাথে বলছি যে, এই প্রতিষ্ঠান থেকে যে সকল শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা জীবন শেষ করে বেড়িয়ে যাবে, তাদের পরবর্তী দিনগুলোতে চলার পথ অনেক সহজ হবে। তারা নিজেদেরকে এমন মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে সক্ষম হবে যে, হিমালয় পর্বত সমান বাধা তাদেরকে বিচলিত করতে পারবে না। তারা তাদের আত্মবিশ্বাস দিয়ে সমস্ত বাধা ও প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, ইন-শা-আল্লাহ্। আমাদের এই যাত্রা পথে সহযোদ্ধা, ভাই, বোন, শিক্ষার্থী সহ সকল অভিভাবকদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সেই সাথে সবুজ বাংলা প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের স্বপ্ন সফল হউক এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানটি নতুন তাই সব কিছু একসাথে চালু করা সম্ভব না হলেও, ধীরে ধীরে সবগুলো পদক্ষেপ নেয়া হবে, ইন-শা-আল্লাহ।

"সবুজ বাংলা প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুল"
প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
মোঃ সাইফুল ইসলাম।
মোঃ শহিদুল ইসলাম।

No comments:

Post a Comment